Saturday, September 3, 2011

What is Rajakar?


What is Rajakar?


Razakar (Bengali: রাজাকার) was the name given to a paramilitary force organized by the Pakistan Army during the Bangladesh Liberation Warin 1971. The word razakar, originating from Persian, literally means "volunteer". The Razakar force was composed of mostly pro-Pakistani Bengalis and Urdu-speaking migrants living in erstwhile East Pakistan (now Bangladesh). Initially, the force was under the command of local pro-Pakistani committees, but through the East Pakistan Razakar Ordinance (promulgated by General Tikka Khan on 1 June 1971) and a Ministry of Defence ordinance (promulgated 7 September 1971), Razakars were recognized as members of the Pakistan Army. Razakars were allegedly associated with many of the atrocities committed by the Pakistan Army during the 9-month war (see 1971 Bangladesh atrocities). Creation In 1971, after military cracksdown, Razakar force was created under Pakistan Army Act Sub-Section 1. Under Sub-Section 2 and 5 two other paramilitary forces Al-Badr and Al-Shams were created as well in 1971. The Pakistan government published gazette of these in Spetember,1971 from Rawalpindi's Army Headquarter. After gazette the Razakars started excuting and eliminating pro-independence Bangladeshis. Later on, Pakistani President published notification, and Razakars were receiving monthly salary and ration ( food supplies). Major General Jamsid was head of Razakar force. Al-Badr force was created in October and started operation in November. Shanti Komiti ( Peace Committee ) was created politically where Golam Azam and Khza Khairuddin was in charge of peace committee [1]These Pakistani offsprings were organized into Brigades of around 3-4000 volunteers , mainly armed with Light Infantry weapons provided by the Pakistani Army. Each Razakar Brigade was attached as an auxiliary to two Pakistani Regular Army Brigades, and their main function was to arrest and detain nationalist Bengali suspects. Usually such suspects were often tortured to death in custody. The Razakars were trained in the conventional army fashion by the Pakistan Army. Following the liberation of East Pakistan as the independent country of Bangladesh, most of the leading Razakars, allegedly includingGhulam Azam, fled to Pakistan (previously West Pakistan). Ghulam Azam maintains that he went to Pakistan to participate in the Annual General Meeting of his organization, the Jamaat-e-Islami, but he was forced to remain overseas until General Ziaur Rahman allowed him to return to Bangladesh. Many of the lower ranking Razakars who remained in Bangladesh were killed in the course of reprisals immediately after the end of fighting while as many as 36,000 were imprisoned. Of the latter many were later freed mainly because of pressure from US and China who backed Pakistan in the war, and because Pakistan was holding 200,000 Bengali speaking military and civilian personnel who were stranded in West Pakistan during the war.[2] After the restoration of democracy in 1992, an unofficial and self-proclaimed “People's Court” (Bengali: গণআদালত Gônoadalot) “sentenced” Ghulam Azam and his ten accomplices to death for war crimes and crimes against humanity. However, as the Islamist Jamaat-e-Islami party was already a part of the ruling alliance in Bangladesh, the “verdict” was ignored. Moreover, the then Bangladesh Nationalist Party (BNP) government re-granted Bangladeshi nationality to Ghulam Azam, as it had been taken from him after the war. Subdued during the rule ofAwami League from 1996-2001, Jamaat-e-Islami returned in full force after the next election in October 2001 in which a four party alliance led by BNP won a landslide victory. The new leader of Jamaat after Ghulam Azam’s retirement, Motiur Rahman Nizami, a Razakar and among the ten people tried by the Gônoadalot, became an influential minister in the government. The word রাজাকার razakar today carries the meaning "traitor" in common Bangladeshi Bengali parlance, similar to the usage of the word Quisling after the Second World War. TAREK ZIA or Tareq rahman, Father- Sector Commander, President Major Ziaur Rahman, Mother- Mrs Khaleda zia uneducated, uncapable prime minister of 20/21th century, the step wife of Mossaddek Ali Falu. Brother- Arafat Rahman koko; one of the beneficiary of Khaleda govt and nominated best addicted Young last five years in a row. Friends- Fokinnirput Gias Al Mamun, thieft of the year 2002/2006 and Bisisto Modkor, Juary, Ganzoti,Hiroinchi. chandabaaz tareikka 
বিএনপি, দলটির নেত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়া এবং অন্য নেত্রী-নেতাদের আইনের শাসনের বুলি হলো- বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার। কথায় কথায় তারা আওয়ামী লীগকে আইনের শাসন 'অমান্যকারী' গণতন্ত্র 'হরণকারী' আরও কত কত অসুস্থ শব্দ ব্যবহার করে দলটিকে জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে চলেছে গত তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু সময়ের কি প্রতিশোধ, আজ তারাই আইনের শাসন মানছে না। ম্যাডাম খালেদা জিয়ার দায়ের করা মামলায়ই হাইকোর্ট রায় দিল তাকে এক মাসের মধ্যে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে। তখনই শুরু হলো মাতম_ হায় তাল গাছ আমার, হায় তালগাছ আমার। কেন এত মাতম? বস্তুত ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটি হাত ছাড়া হয়ে গেলে তথাকথিত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দলটির বহুদলীয় গণতন্ত্র বা আইনের শাসনের ওপর থেকে যে মিলিটারি গিলাপটি সরে যাবে। নইলে সরকারের দেয়া গুলশানে প্রায় ৭০/৮০ কোটি টাকা মূল্যের একটি বাড়ি থাকতে কেন তিনি ক্যান্টনমেন্টে বাড়ি ছাড়তে চাইছেন না? অথচ এই ক্যান্টনমেন্টে বসবাসের কারণে তাঁর দলীয় নেতা-কমর্ী-সমর্থকরা তার সাথে দেখা করতে পারেন না। কাজেই এ বাড়ি ছেড়ে গুলশানের বাড়িতে গেলে নেতা-কমর্ীরা তার সাথে সহজেই দেখা করতে পারবেন। কোন বাধার সম্মুখীন হবেন না। আমি নিজেও মনে করি বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাড়িতে এলে তিনি আর জনবিচ্ছিন্ন ক্যান্টনমেন্টবাসিনী থাকবেন না বরং জনগণের কাছাকাছি চলে আসবেন। সীমাহীন সম্পদের লোভ থাকলে ভিন্ন কথা। অবশ্য দুনিয়াতেও আলস্নাহ পাক-এর বিচার আছে। যাকে আমরা প্রকৃতির প্রতিশোধ মনে করি। মনে পড়ে বাংলাদেশ যখন ক্রিকেটে টেস্ট স্ট্যাটাস-এর জন্য আবেদন করেছিল তখন যে দেশটি সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করেছিল, বলেছিল 'বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের অযোগ্য, আমাদের চরমভাবে অবজ্ঞা করেছিল, সেই নিউজিল্যান্ডেরই স্ট্যাম্পগুলো একে একে উড়ে গেল টাইগারদের অপ্রতিরোধ্য বোলিং-এ। দাম্ভিক নিউজিল্যান্ডিয়ানরা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখল শুধু। কেবল যে স্ট্যাম্পগুলো উড়ে গেল তা নয়, সিরিজ জয় এল টাইগারদের ঘরে তাও নয়, একেবারে যাকে বলে লাইফবয় সাবান দিয়ে হোয়াইট ওয়াশ করে বুঝিয়ে দিল, দাদারা আমাদেরও দিন ছিল, কেবল সময়ের অপেক্ষা এবং সেই সময়ও এমনভাবে এল যে, একেবারে চুনকাম করে পলিশ করে দিল, দাদারা ভাবতেও পারল না। এরই নাম রয়েল বেঙ্গল টাইগার, এরই নাম প্রকৃতির প্রতিশোধ। মনে পড়ে ২০০১ সালের অক্টোবর নির্বাচনের পর সরকার গঠনের শপথ গ্রহণেরও অপেক্ষা করেনি। বিএনপি-জামায়াতীরা যেই দেখল জিতে গেছে অমনি ঝাঁপিয়ে পড়ল আওয়ামী লীগ নেতাকমর্ী এবং সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের জনগণের ওপর। মানুষের বাড়ি বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে লুটপাট, মারধর, হামলা-মামলা, এমনকি নারী নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধ করা শুরম্ন করল। সেই বিভীষিকাময় কালো দিনগুলোর কথা মনে পড়লে আজও শিউরে উঠতে হয়। কে না জানে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করেও যখন দেখল দুই কন্যা বেঁচে আছেন তখন হত্যাকারীরা স্বসত্মি পেল না। ৬ বছর পর দেশে ফিরে এলে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য বার বার আঘাত হেনেছে। গুলি, বোমা, এমনকি ধানম-ি ৫ নং সড়কের বাসভবনে পর্যনত্ম গুলি ছুড়েছে। তাই ১৯৯৬-২০০১-এর আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনার জীবনের নিরাপত্তা জন্য গণভবনটি বসবাসের জন্য দেন। একই সঙ্গে শেখ রেহনাকেও ধানম-িতে একটি বাড়ি বরাদ্দ দেন। ২০০১-এর নির্বাচনে জেতার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার জন্য বরাদ্দকৃত বাসবভন দু'টির বরাদ্দ বাতিল করে দেয়। শেখ রেহানা তো তখনও বাড়িতে ওঠেনইনি। শেখ হাসিনাও সঙ্গে সঙ্গে গণভবন ছেড়ে স্বামীর বাড়ি ধানম-ি ৫ নং সড়কে চলে যান। সেদিন আমরা যারা দূর থেকে শেখ হাসিনার গণভবন ছেড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখেছি অনেকের মুখেই কোন কথা ছিল না, চোখে ছিল জল। এভাবে অপমান সহ্য করে শেখ হাসিনাকেও গণভবন ছাড়তে হয়েছিল। কেউ কেউ বলছেন শেখ হাসিনা প্রতিশোধ নিচ্ছেন! না, শেখ হাসিনা নিচ্ছেন না, এ প্রকৃতির প্রতিশোধ। একজন নারী যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার বা রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী। সেই সুবাদে তাঁকে নগদ ১০ লাখ টাকা, জ্বালানি, চালকসহ গাড়ি, দুই ছেলের লেখাপড়ার খরচ বাবদ মাসে মাসে টাকা, অর্থাৎ সব কিছু ফ্রি করে দেয়ার পরও প্রথমে থাকার জন্য ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটি দেয়া হয় সম্ভবত ১০১ টাকার বিনিময়ে। পরে ক্যান্টনমেন্টে বাড়ি ছেড়ে দেয়ার শর্তে গুলশানে এক অথবা দেড় বিঘার ওপর নির্মিত বাড়ি দেয়া হয়। এই বাড়ি বেগম জিয়ার কাছে হসত্মানত্মরের আগে রীতিমতো খোলনলচে পাল্টে সুসজ্জিত করে তবেই হসত্মানত্মর করা হয়। খাট, পালং থেকে শুরম্ন করে চা-এর চামচ পর্যনত্ম সবকিছু দিয়ে তারপর হসত্মানত্মর করা হয় এবং এতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় তা দিয়ে একটি বাড়ি বানানো যেত। কিন্তু বেগম জিয়া এবার দু'টি বাড়িই দখলে নেন। একটা কথা বলা দরকার_ শুনেছি ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটি না কি এক শত ৬৫ কাঠা অর্থাৎ সোয়া ৮ বিঘা। এদিক থেকে গুলশানের বাড়িটির বর্তমান বাজার দর ৭০/৮০ কোটি টাকা এবং ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটির দাম ৩০০-৪০০ কোটি টাকাও হতে পারে। বেগম জিয়ার দুটি বাড়ি দখলের ব্যাপারে পুরনো বহুল কথিত একটি গল্পের কথা মনে পড়ে গেল। সেকালে অর্থাৎ গত শতাব্দীর শেষার্ধ পর্যনত্ম বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু মানুষকে দেখা যেত যারা বড় কাছারিঅলা বাড়ি দেখলে (সন্ধ্যার আগে আগে) ঢুকে পড়ত এবং মুসাফির পরিচয় দিয়ে রাত্রিযাপনের ইচ্ছে প্রকাশ করত। এরা সাধারণত নোয়াখালী অঞ্চল থেকে বেশি আসত। একবার এক গেরসত্মবাড়িতে এসে একজন মুসাফির থাকার অনুমতি পেল। রাতের খাবারের সময় বাড়ির কর্তা এসে জানতে চাইলেন, আপনি পরোটা-মাংস খাবেন, না ভাত-মাছ_ কোন্টা। মুসাফির একটু ভেবে বললেন, দুইটাই, আগে পরোটা-মাংস খাব পরে ভাত-মাছ। বেগম জিয়ার জন্মও শুনেছি ঐ অঞ্চলেই এবং সেই সুবাদে তিনি গল্পটা নিশ্চয়ই শুনেছিলেন। প্রশ্ন হলো জিয়া মুক্তিযোদ্ধা (সেক্টর কমান্ডার) ছিলেন বা রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সে জন্য তাঁর বিধবা স্ত্রীকে ও এতিম সনত্মানদের থাকার জন্য বাড়ি দেয়া হলো। তাদের ভাষায় জিয়া না কি স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন, আমরা বলি এটি অর্ধসত্য, পুরো সত্য হলো জিয়া বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে পাঠ করেছিলেন। অর্থাৎ তিনি অন্যতম ঘোষণা পাঠক। সে যা হোক এসব অবদানের জন্য তাঁর বিধবা স্ত্রী ও সনত্মানদের এত কিছু দেয়া হলো। আমরা কি প্রশ্ন করতে পারি শেখ মুজিব ছিলেন বাঙালী জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সনত্মান। বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা, আমাদের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক নেতা, পথপ্রদর্শক, বাঙালীর জাতি রাষ্ট্রের স্রষ্টা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু, তাঁকে হত্যার পর পরিবারের একমাত্র জীবিত এতিম দুই কন্যার জন্য কি করা হয়েছিল? বঙ্গবন্ধুর বাড়ি দু'টিই (ধানম-ি ও টুঙ্গিপাড়া) দু'বোন জনগণের উদ্দেশ্যে দান করেছেন। তাঁরা দু' বোন বিদেশে ছিলেন বলে বেঁচে গেছেন। বরং জিয়া তাদের দেশে আসতে দেয়নি। বারে বারে শেখ হাসিনাকে হত্যা করারও ষড়যন্ত্র হয়। বঙ্গবন্ধু তো রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টও ছিলেন। সে বিষয়টিও তো বিবেচনায় আনা হয়নি। খন্দকার দেলোয়ার কিংবা মীর্জা ফখরম্নল কি বললেন না বললেন সে সব তত গুরম্নত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরম্নল ইসলাম খান (সিপিবির সভাপতি মনজুরম্নল আহসান খানের ভাই) যখন বলেন, ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটির সাথে আবেগ জড়িত আছে। এ আবেগের অর্থ আমরা বুঝতে পারলাম না। নজরম্নল ইসলাম খান যদি একটু ব্যাখা করে বলেন তাহলে ভাল হয়। যদি বলা হয় খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে বাড়ি দু'টি দেয়া হয়েছে। এখানেও প্রশ্ন, বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামাল দু'জনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে বাংলাদেশ আর্মির কমিশন রেঙ্ক-এ যোগ দেন এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি (তখন) কর্নেল এমএজি ওসমানীর এডিসি ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ আর্মির ক্যাপ্টেন হিসেবে অবসর নিয়ে অসমাপ্ত শিক্ষা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞানে বি.এ. অনার্স ও এম.এ. কোর্স) সমাপ্ত করেন এবং শিল্প-সংস্কৃতি-ক্রীড়া ও রাজনীতির অঙ্গনে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। আর শেখ জামালও একইভাবে বাংলাদেশ আর্মির কমিশনও প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার পর ইংল্যান্ডের বিখ্যাত সেন্ডহাস্ট থেকে প্রশিক্ষণ ও কমিশন নিয়ে আর্মিতে ফিরে যান। তাঁকেও হত্যা করা হয়েছিল সস্ত্রীক। এখানে কি আবেগের জায়গা নেই। তাদের দু'বোন তো জীবিত ছিলেন। ধরে নিলাম ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও লেফ্টেন্যান্ট শেখ জামালের বিয়ে হয়েছিল এক মাস হয় এবং এরই মধ্যে তাঁদেরও হত্যা করা হয়। তবে কর্নেল তাহের, জেনারেল খালেদ মোশাররফ, জেনারেল মনজুর, কর্নেল হুদা, কর্নেল হায়দারদের হত্যার পর তাদের স্ত্রী সনত্মানরা বেঁচে আছেন। তাদের ব্যাপারে কি আবেগ কাজ করে না প্রিয় নজরম্নল ইসলাম খান ভাই? তবে হঁ্যা এবার কিন্তু ভাল ধরা খেয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ যদি হাইকোর্টের মামলাটি করত বা আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে বাড়ি ছাড়তে বলতেন তাহলে বিএনপি কিছুটা হলেও রাজনৈতিক ফায়দা পেত। কিন্তু এক্ষেত্রে সে সুযোগও নেই। বেগম জিয়াই হাইকোর্টে মামলাটি করেছেন বাড়ি রক্ষার জন্য। হাইকোর্ট তার মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে এবং তাঁকে এক মাসের মধ্যে বাড়ি ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে বেগম জিয়াকে হয় হাইকোর্টের রায়ের বিরম্নদ্ধে আপীল করতে হবে আপীল বিভাগে নয়ত হাইকোর্ট তথা বিচার বিভাগের বিরম্নদ্ধে রাজপথে নামতে হবে। কিন্তু রাজপথে নামা যে সম্ভব নয় এটা বুঝতে পেরে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ডুব মেরেছেন। তাঁর কোন কথা শোনা যাচ্ছে না। না-কি আকীদা বদলানোর চেষ্টায় আছেন কে জানে? মওদুদ আহমেদের কথাইবা বলব কেন, টিএইচ খানও তেমন কোন মনত্মব্য করছেন না, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরীও কৌশল অবলম্বন করে আর্মির ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। তবে মাঠে নেমেছেন খালেদা জিয়ার নব্য আইন উপদেষ্টা সুপ্রীমকোর্ট বার সভাপতি এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনিও খানিক পাশ কাটিয়ে বলেছেন আদালতের বাইরে বিষয়টি মীমাংসা হতে পারে। তার বক্তব্যে আন্দোলনের ব্যাপার নেই, আছে সালিশীর ব্যাপার। আমার বোঝাটা যদি ঠিক হয় তবে তার কথার অর্থ হলো সরকারী-বিরোধী দল বসে বিষয়টি সুরাহা করতে পারে। অর্থাৎ গ্রাম্য সালিশ। যা টাউটরা পরিচালনা করে এবং কখনও কখনও পয়সার বিনিময়ে ফতোয়া দেয়, কখনও দু'পক্ষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে বছরের পর বছর গ্রাম্য কাজিয়া জিইয়ে রাখে। খন্দকার মাহবুব সাহেব কি তাই চান? সালিশ হলে বছরের পর বছর জিইয়ে রাখার একটা সুযোগ আসবে এবং বারের সভাপতি হিসেবে তিনি ভূমিকা রাখতে পারবেন, হয়ত তিনি তাই ভাবছেন। গ্রাম্য সালিশের মতো দু'পক্ষের কাছ থেকে টাকা খাবেন, এ কথা আমি বলছি না। খন্দকার মাহবুব সাহেব আরও যে কথা বলেছেন তা হলো 'আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগ সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তার এ বক্তব্য আদালত অবমাননা কি-না সে আইনজীবী হিসেবে তিনিই বলতে পারেন। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে বুঝি কোন দল বা সরকার যখন আদালতকে প্রভাবিত করতে পারে বা আদালতকে দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে পারে, তখন সে আদালত কি আদালত থাকে? আমরা জানি আদালত কেবল আইন বা রাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী চলে, কারও কাছে দায়বদ্ধ নয়, কারও ইচ্ছা-অনিচ্ছায়ও আদালত চলে না। তারপরও খন্দকার মাহবুবের মতো একজন প্রবীণ আইনজীবী কিভাবে এমন বালখিল্য কথা বলেন বুঝি না। খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও বলেছেন, "খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ির বিষয়টি অত্যনত্ম স্পর্শকাতর। এটি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি।" তাহলে বাংলাদেশের সব বাড়িই তো কারও না কারও স্মৃতিবিজড়িত। তাহলে কি তাদের সবার মৃতু্যর পর তাদের বিধবা স্ত্রী বা এতিম সনত্মানদের নামে সে সব বাড়ি লিখে দিতে হবে? তাহলে তো সরকারী কাজকর্মের জন্য আর কোন বাড়িই অবশিষ্ট থাকবে না। বরং আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু হত্যার ব্যাপারে সম্পৃক্ততা, হত্যাকারীদের দায়-মুক্তি দান ও বিদেশী দূতাবাসে বড় বড় চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা, দেশে সামরিক শাসন স্থায়ী করা, গোপন বিচারে কর্নেল তাহেরের হত্যা, যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে বাংলাদেশে থাকতে দেয়া, জামায়াতের মতো ঘৃণ্য-জঘন্য যুদ্ধাপরাধী দলকে রাজনীতি করার অধিকার দান এবং সর্বোপরি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করা এবং লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধের ধারা থেকে পাকি সামপ্রদায়িক ধারায় নিয়ে যাওয়া, এসব রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধের জন্য জিয়ার মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত। দেশের আজকের যে দুর্ভোগ, আশানুরূপ অগ্রগতি সাধনে ব্যর্থতা এবং সবার ওপরে একটি দেশপ্রেমিক প্রশাসন গড়ে তুলতে না পারা_ এসব কিছুর জন্য দায়ী ঐ জিয়াউর রহমান। এই ভদ্রলোকই গড়হবু রং হড় ঢ়ৎড়নষবস বলে দেশের সমাজ, রাজনীতি, প্রশাসন সর্বক্ষেত্রে ঘুষ-দুনর্ীতিকে উৎসাহিত করেছেন। এই ভদ্রলোকই মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের হাতে অর্থ, অস্ত্র, পানীয় তুলে দিয়ে (হিজবুল বাহার) ছাত্র রাজনীতিতে সুস্থ ধারার চর্চা করার পথ রম্নদ্ধ করে দিয়ে গেছেন। বস্তুত সামরিক শাসকরা এমনই হয়। আইয়ুব-ইয়াহিয়া বা জিয়া-এরশাদকে দেখেছি। কারও সাথে কারও কোন গরমিল দেখেছি বলে মনে পড়ে না। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পাকিপন্থী, স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদর-আলশামস বা ভাসানী ন্যাপের যে অংশটি স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা রাখতে না পারার কারণে না ঘরকা না ঘাটকা ছিল, জিয়াকে ঘিরে তারা যে এক অশুভ রাজনৈতিক বলয় সৃষ্টি করার সুযোগ পেল এবং পরবতর্ীতে জিয়া হত্যার পর আরও যারা জিয়ার সেই মিলিটারি ইমেজের চাদর জড়িয়ে খালেদা জিয়াকে ঘিরে সেই বলয় রক্ষা করছে, জিয়ার মরণোত্তর বিচার হলে তাদের সেই অশুভ বলয়ও ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাবে। বাংলাদেশ তার মূল ধারায় অগ্রসর হতে থাকবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এ পথেই পরিবর্তনের সূচনা করেছেন, এগিয়ে চলেছেন। একজন মানুষের কত সম্পদ চাই, কত জমি চাই? তাঁকে তো গুলশানে একটা বাড়ি দেয়া হয়েছে। সেটিও ছোট নয়। তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান তো শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। মানুষের মুখে মুখে চলছে এসব মহাজনী বাণী। কারও কারও মতে হাজার কোটি টাকাও হতে পারে। স্ত্রী-সনত্মানসহ দুই ভাইয়ের লন্ডন ব্যাঙ্ককে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান অথবা চিকিৎসার জন্য থাকার ব্যাপারটা চিনত্মা করলেই তো অনুমান করা যায়। বস্তুত একটি জনগোষ্ঠী যখন মূলধারা থেকে বিচু্যত হয় তখন তার আর মূল্যবোধ বলে কিছু থাকে না। আমরা কেবল খাই খাই চাই চাই-এর বাইরে কিছু ভাবি না। মহর্ষি টলসত্ময়ের সেই বিখ্যাত ঐড় িসঁপয ষধহফ ফড়বং ধ সধহ ৎবয়ঁরৎব গল্পটির কথা মনে পড়ে গেল। এক লোক কেবল জমি চাচ্ছে। তখন তাকে একটি ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে বলা হলো, এ ঘোড়া সূর্যাসত্ম পর্যনত্ম যতখানি ভূমি অতিক্রম করতে পারবে সবটাই তোমার। কথা মতো লোকটির ঘোড়া দৌড়োতে লাগল, দৌড়োতে দৌড়োতে সূর্যাসত্মের মুহূর্তে লোকটি ঘোড়া থেকে পড়ে গেল এবং মারা গেল। এবং তখন তার প্রয়োজন পড়ল মাত্র সাড়ে তিন হাত জমিন। ঢাকা-২১ অক্টোবর, ২০১০ money launderer two brother লেখক_ ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিক এক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আলাপ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার আমরাও চাই। কিন্তু বিচারের নামে রাজনৈতিকভাবে কাউকে হয়রানি করা যাবে না।’ ১৯ মে পল্টন ময়দানে আয়োজিত সমাবেশে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধী নয়। তবে সেই বিচারের নামে কাউকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হলে তাঁরা মেনে নেবেন না।’ খুবই ন্যায়সংগত ও যুক্তিপূর্ণ কথা। ন্যায়বিচারের স্বার্থেই সব বিচার-প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের মতো স্পর্শকাতর একটি বিচার-প্রক্রিয়ায় কোনো গলদ বা ফাঁকফোকর থাকা উচিত নয়। এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যখন যুদ্ধাপরাধের বিচারে বিএনপির সহযোগিতা চাইলেন, তখন দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বললেন, একদিকে সহযোগিতা চাইবেন, অন্যদিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালাবেন, এ স্ববিরোধী নীতি চলতে পারে না। কেবল তিন শীর্ষস্থানীয় নেতা নন, চিহ্নিত কয়েকজন বাদে গত ১৯ মাসে বিএনপির প্রায় সব স্তরের নেতা-নেত্রীর বক্তৃতা-বিবৃতি ঘাঁটলে দেখা যাবে, সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও কেউ যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিপক্ষে অবস্থান নেননি।কিন্তু ৫ অক্টোবর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া তাঁর বক্তৃতায় সরাসরি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। স্বাধীনতাবিরোধীদেরও তখনকার সরকার ক্ষমা করে দিয়েছিল। আজ প্রায় চার দশক পর স্বাধীনতাবিরোধীদের সহযোগীদের বিচারের কথা বলে জাতিকে হানাহানির দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। সরকারের দুমুখো নীতির বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে (প্রথম আলো, ৬ অক্টোবর ২০১০)।’আমরা ধন্দে পড়ে যাই। এ কার কণ্ঠ শুনছি—মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বিএনপি-প্রধানের কণ্ঠ, না স্বাধীনতাবিরোধী ও মৌলবাদী কোনো দলনেত্রীর?বক্তব্যটি হঠাৎ মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে, তা ভাবার কারণ নেই। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে এ পর্যন্ত যা যা ঘটেছে, সংক্ষেপে তার বিবরণও দিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর কথায়, জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতিধ্বনি ছিল না, ছিল জামায়াতের সুর। খালেদা জিয়ার প্রথম কথা হলো, আওয়ামী লীগ ‘প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের’ বিচার করেনি। স্বাধীনতাবিরোধীদের সহযোগীদের বিচারের নামে এখন তারা জাতিকে হানাহানির দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। গুটিকয়েক যুদ্ধাপরাধীর বিচার করলে দেশে হানাহানি দেখা দেবে না। বরং তাদের বিচার না হওয়ায় জাতিকে কলঙ্কের বোঝা বইতে হচ্ছে।তাঁর দ্বিতীয় কথা হলো, এই বিচার রুখে দিতে হবে।কী মারাত্মক কথা! বিচার সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হওয়ার কথা নয়। বিচার রুখে দিতে হবে!বিএনপি নিজেকে মধ্যপন্থী, উদার গণতান্ত্রিক ও সাচ্চা জাতীয়তাবাদী দল বলে দাবি করে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও নাকি বিএনপি ছাড়া অন্য কারও হাতে নিরাপদ নয়। স্বাধীনতার সঙ্গে জাতীয় চেতনা, মুক্তিযুদ্ধ, জনমানুষের আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি নিশ্চয়ই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিএনপি নেত্রী কোথায় পেলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার করলে জাতি বিভক্ত হবে? হানাহানি সৃষ্টি হবে? কোন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করায় জাতি বিভক্ত হয়েছে? গণহত্যা ও বর্বরতার দায়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত নাৎসি বাহিনীর বিচার হয়েছে। বসনিয়া ও কাম্পুচিয়ার যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার চলছে। তাতে সেসব দেশ বিভক্ত বা দুর্বল হয়নি। গ্লানি ও পাপমুক্ত হয়েছে।খালেদা জিয়া ‘প্রায় চার দশক পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্নটি যৌক্তিক, কিন্তু উদ্দেশ্য সৎ নয়। আমরাও মনে করি, মানবতা ও সভ্যতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনকারীদের বিচার অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। এত দিনেও তাদের বিচার করতে না পারা আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। যুক্তির খাতিরে ধরে নিলাম, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকার তাদের বিচার না করে ভুল করেছে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেই ভুল সংশোধন করল না কেন? স্বাধীন বাংলাদেশে বিএনপিই তো সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় ছিল। নিশ্চয়ই আবারও তারা ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে।আমরা অতীত নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করতে চাই না। আইন ও ন্যায়বিচারের কথা বলতে চাই। বিএনপি নেত্রীকে জিজ্ঞেস করতে চাই, স্বাধীনতার চার দশক পর যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নিতে আইনগত বাধা আছে কি? নেই। তাহলে বিএনপির গা জ্বালা করার কারণটা কী? তাদের দলে কতজন যুদ্ধাপরাধী আছে? মাত্র একজনের (সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী) অপরাধ তদন্ত করায় খালেদা জিয়া এভাবে খেপে গেলেন কেন? না এর পেছনে আরও কারণ আছে? ৮ অক্টোবরের কাগজে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাবেক শিল্পসচিব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা শোয়েব আহমদ আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী তাঁকে বলেছিলেন, এ বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ অবগত আছে। সরকার সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।’ (প্রথম আলো, ৮ অক্টোবর, ২০১০)।যুদ্ধাপরাধের বিচারে খালেদা জিয়া বা বিএনপির অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে ১০ ট্রাক অস্ত্রের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, সেটিও ভেবে দেখার বিষয়। সে দিন মতিউর রহমান নিজামী শিল্পসচিবকে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কথা বলে অভয় দিয়েছিলেন। তার বিনিময়ে আজ কি খালেদা জিয়া নিজামী সাহেবদের এই বলে অভয় দিচ্ছেন যে ‘আমরা আছি তোমার পাশে’?খালেদা জিয়া প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করে সহযোগীদের বিচার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে ‘প্রকৃত’ ও ‘অপ্রকৃত’ বলে কিছু নেই। যারা একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের মতো ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত ছিল, তারাই যুদ্ধাপরাধী। খালেদা জিয়া ‘প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী’ বলতে নিশ্চয়ই দখলদার পাকিস্তানি সেনাদের বুঝিয়েছেন। আমরা তাদের বিচার করতে পারিনি, সেটি আমাদের ব্যর্থতা। তাই বলে দেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যাবে না কেন? খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের সহযোগী’ বলে তাদের অপরাধ লাঘব করতে চাইছেন। সরকার এখন ‘স্বাধীনতাবিরোধীর’ বিচার করছে না, তাদের জন্য বিশেষ আদালতও গঠন করা হয়নি। বিচার হচ্ছে একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধে যারা জড়িত ছিল, তাদের। সে সময় জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামী, পিডিপি, কৃষক প্রজা পার্টি এবং অন্যান্য দলের হাজার হাজার নেতা ও কর্মী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর দালাল আইনে তাঁদের বিচার শুরু হয়েছিল। অনেকের জেল-জরিমানা হয়েছিল। অনেকে আবার ক্ষমতাসীনদের নানা রকম এনাম দিয়ে ছাড়াও পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিল, এ কথা ঠিক। সেই ক্ষমার মধ্যে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এসে কেন ক্ষমাপ্রাপ্তদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করল? দেশের মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বানাল? আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমা করে যদি সগিরা গুনাহ করে থাকে, বিএনপি করেছে কবিরাহ গুনাহ। এরপর খালেদা জিয়া যে ভয়ংকর কথাটি বলেছেন, তা হলো যুদ্ধাপরাধীদের ‘বিচার রুখে দিতে হবে’। তিনি কীভাবে ভাবলেন, জনগণ তাঁর এই আহ্বানে সাড়া দেবে?২০০৮ সালের নির্বাচনের কথা কি তাঁর মনে আছে? সেই নির্বাচনে তিনি দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও স্লোগান দিয়েছিলেন। ভোটাররা আমলে নেননি। বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা ছিল না। আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ছিল। জনগণ আওয়ামী লীগকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এখন আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করলে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দায়ে তাদের অভিযুক্ত হতে হবে। যেমনটি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে।এ কথা ঠিক, গত ২০ মাসে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কাছে দেওয়া অনেক অঙ্গীকারই রাখতে পারেনি। সর্বত্র দলবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগবাজি চলছে। বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির উচিত এর প্রতিবাদ করা। কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করছে কেন? আগে বিদেশি জুজুর ভয় দেখাত। কিন্তু যখন দেখা গেল কোনো দেশই তাদের কথা আমলে নিচ্ছে না তখন হানাহানির ভয় দেখাচ্ছে। এটি দায়িত্বশীল বিরোধী দলের কাজ নয়।বিএনপি চেয়ারপারসন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দেশবাসী দূরে থাক, এ কাজে তিনি দলের কর্মীদেরও পাবেন না। বিএনপিতে হাতে গোনা কয়েকজন যুদ্ধাপরাধী থাকলেও সবাই তাদের সমর্থক নয়। দলের নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরাও যুদ্ধাপরাধের বিচার চান। আমরা স্মরণ করতে পারি, ১৯৯২ সালে গোলাম আযমের নাগরিকত্বকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ঘাতক-দালালবিরোধী আন্দোলনের শুরুতে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময় শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের খামোশ করে দিয়েছিলেন। এখনো কি জামায়াতকে রক্ষা করতে খালেদা জিয়া দলীয় কর্মীদের খামোশ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন?যে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, যে দলে এখনো বহু মুক্তিযোদ্ধা আছেন, সেই দলটি যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতা কীভাবে করে? তাহলে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে তো কোনো পার্থক্য থাকে না।খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত অন্যান্য পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করলেও রুখে দিতে বলেননি, কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচার রুখে দিতে বলেছেন। কেন রুখে দিতে হবে? তাতে জামায়াতের নেতারা, অর্থাৎ তাঁর দলের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা খুশি হবেন বলে? এ আহ্বানের একটাই উদ্দেশ্য, তা হলো যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর মিশনে নেমেছেন তিন-তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপালনকারী খালেদা জিয়া। কেন তাদের বাঁচাতে হবে? মনে রাখবেন, জামায়াতের মিত্রতা রক্ষার বিনিময় মূল্য অনেক বেশি। বিএনপি হঠাৎ কেন যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিপক্ষে অবস্থান নিল? কার স্বার্থে? তাহলে আওয়ামী লীগের নেতারা যে অভিযোগ করে আসছিলেন সেটাই ঠিক—বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চাইছে।খালেদা জিয়া আরও বলেছেন, ‘ঐক্যবদ্ধ একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ গড়ার জন্য জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করেছে। আজ সেই মুক্তিযুদ্ধকে জাতির বিভাজনের হাতিয়ার করার অপচেষ্টা চলছে। ইতিহাসের বিকৃতিকে আমরা মেনে নিতে পারি না।’ ইতিহাসের বিকৃতি কারও কাম্য নয়। ইতিহাস নির্মাণে যাঁদের কোন ভূমিকা নেই, তাঁরাই ইতিহাস বিকৃতি করেন। এর দায় থেকে কেউ মুক্ত নন। ক্ষমতার হাত বদলের সঙ্গে সঙ্গে নাম কর্তন হয়, নাম যুক্ত হওয়ার মহড়া চলে। হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ১৫ খণ্ডের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রকে মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জিয়াউর রহমানের উদ্যোগেই এ দলিলপত্র প্রকাশিত হয়েছিল। চারদলীয় জোট আমলে তৃতীয় খণ্ড থেকে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটিই গায়েব করে দেওয়া হয়েছিল কার নির্দেশে? এর উদ্দেশ্য পরিষ্কার। জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানো। ২৭ মার্চ তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে জন্য বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি গায়েব করতে হবে কেন? আবার বর্তমান সরকার যেভাবে সবখান থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে তাও শুভবুদ্ধির পরিচয় নয়। ইতিহাসে যাঁর যেটুকু স্থান তা দিতে হবে। একাত্তরে জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিল। কতিপয় রাজাকার-আলবদর ও শান্তি কমিটির সদস্য বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ঠেকাতে পারেনি। খালেদা জিয়া কিংবা তাঁর দল বিএনপিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে পারবে না। যদি গায়ের জোরে বিচার ঠেকাতে চায়, তাহলে জনগণই তাদের ঠেকিয়ে দেবে। 
 
FORMER STATE MINISTER OF HOME MR. LUTFUZZAMAN BABAR & TAREQ RAHMAN ALSO ACTIVE AGENT OF JMB HUJI & LeT IN BANGLADESH. At the age of 42 Tareq made his first significant step in politics in 2002, when ruling Bangladesh Nationalist Party was announced that he had been promoted to a senior position. Mr Rahman rapidly acquired a reputation for being a “hatchet man” for enforcing party discipline. Mr. Rahman appears to prefer working behind the scenes. His private office “Hawa Bhavan” was widely viewed by political opponent Awami League as the driver of the country’s mismanagement and corruption during 2001 to 2006 while his mother Khaleda Zia was the Prime Minister. He rarely speaks to the press, and is renowned for his reticence in the few media interviews he has given. the looters of the century and razakars Under the present care taker government on March 7, 2007, Tareq Rahman was arrested by law enforcing Joint Forces. He is charged with extortion and other corruptions. He initially denied the charges. But later the situation turned dramatically when other arrested BNP political leaders started to disclose information on Tareq Rahman’s corruption. Especially the arrest of former state minister for home affairs Lutfozzaman Babar on May 29, 2007 brought a huge downfall of Tareq’s public image. Mr. Babar provided evidence of Tareq Rahman’s corruption. But trail has not started for these charges yet. Khaleda Zia claimed in the court that her sons had not committed any crime as they did not need money. 
======================= 
10 Truck arms was smuggled by babar, saka, nizami and tareq The UN anti corruption agency declared Bangladesh “the most corrupt country in the world” 5 years in a row. In 2006 the prize passed into other hands, leaving Bangladesh in “only” third place. “Corruption is widespread, from the postman to ministers, from teachers to judges” experts note. “People constantly discuss it, politicians make promises, but no one actually believes its levels can even be reduced”. 
------------------------------------------------------------------------------------- 
If Ershad is barred from running in next election due to corruption charges, then what about Khaleda Zia and her family members. She must explain to people how her family became one of the richest families in the world from the day of broken suitcase and ragged T-Shirt. Her son Tareque Zia is well known as Mr.10%. By special blessing of Khaleda Zia , from the street Falu Mia earned more than Tk1,000 Cr. Late Abdul Mannan Bhuiyan (secretary general of bnp became the owner of private TV Channel. Vicious circle of syndicate under direct patronization of Tareque Zia plundered thousands of crores Takas from the pocket of common people by hiking the prices of all commodities. In terms of corruption, Ershad was infant compared to Khaleda Zia's family all MPs and Ministers of immediate past BNP-Jamaat govt.Most of the people in Bangladesh did not support the massive corruption done by BNP-Jamaat alliance, so people won't vote for them again. People will vote for a new govt. to punish Khaleda Zia, Tareque Zia and all other MPs and Ministers of immediate past BNP-Jamaat govt.All their properties will be seized by the newly elected govt. to form a National Trust. So, In Coming Election the Main Agenda is to defeat toxic BNP-Jamaat alliance in order to put Khaleda Zia, Tareque Zia and all other thug MPs and Ministers of erstwhile BNP-Jamaat govt. in jail for record breaking misrule and massive corruption. Ziaur Rahman rehabilitate the war criminals and murderers of father of bengali nation
 
ZIAUR RAHMAN REHABILITATE THE RAZAKARS AND 
 
BANGABANDHU MURDERERS.
.---------------------------------------------------------------- 
Ziaur Rahman, a Major in the Pakistan Army, Zia's unit (2/5 East Bengal Regiment) took control of the Kalurghat radio station in Chittagong at the onset of the Bangladesh Liberation War and on behalf of Bengali nationalist leader (Father of the Nation)Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman.made the most widely transmitted declaration of independence of Bangladesh which was the third and last in a series of such declarations. Recognized as a war hero, he was honored with the second highest national award Bir Uttom in 1972. A high-ranking accomplished officer in the Bangladesh Army, Zia was appointed chief of army staff in course of dramatic events that evolved following the assassination of Sheikh Mujibur Rahman in 1975 by a group of junior military officers and these army personnel met Ziaur Rahman at his residence to killed Sheikh Mujibur Rahman. This was followed shortly by another coup and counter-coup and ultimately led to the consolidation of power under Zia as Deputy Chief Martial Law Administrator. The counter-coup, sometimes referred to as a sepoy mutiny was organized by the socialist Colonel Abu Taher

No comments:

Post a Comment